শিশু হাসপাতালে বেড সঙ্কট

রোগীর ভিড়ের চাপ ও বেড সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও উন্নত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। 

হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালটি দেশের অন্যতম সেরা শিশু হাসপাতাল হওয়ার কারণে বিপুল সংখ্যক রোগীর চাপ থাকে। হাসপাতালের আউটডোর থেকেও প্রচুর রোগী যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে। তবে, চাহিদার তুলনায় শয্যা সঙ্কট থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালের মেঝেতে অনেক রোগীকে বিছানা পাততে হয়।

গুরুতর অসুস্থ না হলে এবং তাদের ভর্তির প্রয়োজন না হলে অনেক রোগী হাসপাতালের আউটডোর থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। কিছু রোগীকে ভর্তি করা দরকার হলেও শয্যা সঙ্কটের কারণে তাদের অনেকে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে অবস্থার করে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসলেও চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত বেড নেই।

তাই অনেক সময় বেড খালি না থাকলে রোগী ভর্তি করা সম্ভব হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সত্যি বেড না থাকলেও রোগীরা ঠিকমতোই চিকিৎসা পান, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
সূত্র জানায়, হাসপাতালে বর্তমানে মোট ৬৮০টি বেড রয়েছে, যার মধ্যে দরিদ্র রোগীদের জন্য বিনামূল্যের বেড ১৮০টি। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে এই মাসে আরও ৫০টি বেড প্রস্তুত করা হবে।

তারা জানান, হাসপাতালে একটি বহুতল ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। এটি চালু হলে আগামী বছর বেডের সংখ্যা হবে ১ হাজার ৫০০টি। 

আউটডোর চিকিৎসার জন্য ৬০, ১২০ ও ২০০ টাকায় তিন ধরনের টিকিট বিক্রি করা হয়।

সোনারগাঁ এলাকার মো. ফেরদৌস কিডনি রোগে আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসেন। ভর্তি করার এক সপ্তাহ পর তিনি হাসপাতালে বেড পান। তিনি বলেন, এখানে চিকিৎসা ভালো এবং তার সন্তান এখন আগের চেয়ে ভালো।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় মেয়ে আকসার চিকিৎসার জন্য জামালপুর থেকে এই হাসপাতালে আসেন আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, তার মেয়েকে এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং সে এখন ধীরে-ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।

সূত্র জানায়, হাসপাতালের ভাড়া প্রতি কেবিন রুমের জন্য প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতিটি পেয়িং বেডের জন্য প্রতিদিন ৭০০ টাকা দিতে হয়।
ওষুধ ও খাবার রোগীদের কিনতে হয় এবং হাসপাতাল শুধু চিকিৎসা সেবা দেয়।

 -(বাসস)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *